বাংলা- লেকচার-২০: বাংলা ব্যাকরণ (ণ-ত্ব এবং ষ-ত্ব বিধান)
Category: Bangla
Posted on: Wednesday, September 13, 2017
বাংলা ভাষার শব্দসমূহ বিচার করলে দেখা যায় খাঁটি বাংলা শব্দে শুধু 'স' ও 'ন' রয়েছে। কিন্তু বাংলা ভাষায় স, শ, ষ এই তিনটি এবং ন ও ণ বর্ণ চালু রয়েছে। শ, ষ এবং 'ণ' সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে এবং বানানের ক্ষেত্রে গোলযোগ সৃষ্টি করেছে। এই বানানের গোলযোগ বা ভুল যাতে এড়ানো যায় সেজন্য কিছু নিয়ম বা বিধান তৈরী করা হয়েছে। খাঁটি বাংলা ও বিদেশী শব্দের বানানে মূর্ধন্য 'ণ' ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই। শুধু তৎসম শব্দের বানান রীতির জন্যই ণত্ব বিধান প্রযোজ্য।
ণ-ত্ব বিধান: বাংলা ভাষায় বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধণ্য-ণ এবং দন্ত্য-ন এর ব্যবহার আছে। তা বাংলায় অবিকৃত ভাবে রক্ষিত হয়। তৎসম শব্দের বানানে ণ এর সঠিক ব্যবহারের নিয়মই ণ-ত্ব বিধান।
ণ ব্যবহারের নিয়ম: বাংলা শব্দের বানান দন্ত্য-ন পরিবর্তিত হয়ে যখন কোন মূর্ধন্য-ণ হয়ে যায়, এই নিয়মের নাম হল ণ-ত্ববিধান।
১. সাধারণ ভাবে ঝ, র, ষ, ব, এর মূর্ধন্য-ণ হয়। র অর্থ (১) র , (২) রেফ, (৩) র-ফলা। উদাহরণ - (১) কারণ , ধারণ , মরণ , (২) কর্ণ, চূর্ন, (৩) ঘ্রাণ , প্রণয়, প্রাণ।
ঋ অর্থ (১) ঋ (২) ঋকার। উদাহরণ (১) ঋণ (২) ঘৃণা, তৃণ , মৃণাল ইত্যাদি। ষ: ঘর্ষণ , দূষণ , বর্ষণ , ভীষণ , ভূষণ, ইত্যাদি। ব: বণ, বণিক, বীণ, বুণ, বৌণী, ইত্যাদি।
২. ঋ, র, ষ, এর , পরে , যদি, ক-বর্গ অথবা প-বর্গ অথবা য, য়, হ, প্রভৃতি অক্ষরের যেকোন একটি বা দুইটি অক্ষর আসে , তবে তার পরে মূর্ধন্য-ণ হবে। উদাহরণ : অপরাহ্ণ, পরিবহণ, রঙ্গিনী, রোপন, কৃপন , গৃহিণী, অর্পণ, চর্বন, অগ্রহায়ণ, গ্রহণ, গ্রামীণ।
তবে পরের নিয়মের কিছু ব্যতিক্রম আছে। যেমন - আযুম্মান, গবীয়ন, টক্ষুমান, নির্গমন, পূষন, বর্হিগমান, বর্ষীয়ান, শ্রীমান ইত্যাদি।
৩. প্র, পরা, পরি, নির উপসর্গের পর নম, নশ, নী, অনু, অন, হন প্রভৃতি ধাতু থাকলে মূর্ধন্য 'ণ' হয়। যেমন: প্রণাম, পরিণাম, পরিণয়, প্রণয়, প্রণভ, প্রাণ, প্রণতি, প্রহরণ, পরায়ণ, প্রণোদিত, প্রণিধান, প্রণিপাত, পরিণতি, প্রণীত, প্রণয়ন, প্রণামি, প্রণালী, প্রণেতা, পরিণামদর্শী, নির্ণয়, নির্ণায়ক, নির্ণীত ইত্যাদি।
৪. ট-বর্গের ট, ঠ, ড, ঢ - এই চারটি বর্ণের পূর্বে যদি ন ধ্বনি থাকে এবং ঐ ন সহযোগে যদি যুক্ত বর্ণ তৈরি হয়, তাহলে তা সর্বদা মূর্ধন্য-ণ হবে। যেমনঃ কণ্টক, ঘন্টা, কণ্ঠ, ঠান্ডা ইত্যাদি। ৫. উত্তর, পর, পার, রবীন্দ্র, চান্দ্র, নার, শব্দের, পরে অয়ন/আয়ন শব্দ হলে দন্ত্য-ন পাল্টে মূর্ধণ্য হয়। পর+আয়ন = পরায়ণ, রবীন্দ্র+আয়ন = রবীন্দ্রায়ণ, চান্দ্র+আয়ন = চান্দ্রায়ণ, নার+আয়ন = নারায়ণ।
৬. প্র, পরা, পূর্ব ও অপর এই চারটির পরবর্তী 'অহ্ন' শব্দের দন্ত্য 'ন' মূর্ধন্য 'ণ' হয়। যেমনÑ প্রাহ্ণ, পরাহ্ণ, পূর্বাহ্ণ, অপরাহ্ণ ইত্যাদি।
৭. মাঝে মাঝে সমাসবদ্ধ শব্দে মূর্ধন্য-ণ হয়। যেমন - অগ্রণী, গ্রামীণ , অগ্রহায়নে। ৮. কতগুলো শব্দে স্বভাবতই মূর্ধন্য-ণ হয়। এরকম কিছু শব্দ নিয়ে একটি প্রাচীন ছাড়া চাণক্য মাণিক্য গণ বাণিজ্য লবণ মণ রেণুবীনা কষ্কণ কনিকা। কল্যাণ শোণিত মণি স্থাণু গুণ পুণ্য বেণী ফনী অণু বিপণী গণিকা। আপণ লাবন্য বাণী নিপুণ ভণিতা পাণি গৌণ কোণ ভাণ পণ শাণি। চিক্কণ নিক্কণ তৃণ কফোণি বণিক গুণ গণনা পিণাক পণ্য বাণ।
আরো কিছু শব্দ: বাণ, শাণ, কণা, চিকণ, গণ্য, বেণু, গণ, পণ, বণিক, ফণা, মণ, গণিত, নিক্কণ, শণ, ঘুণ, তুণীর, তূর্ণ, কফণি, মৎকুণ, ঘোণা, করুণইত্যাদি।
৯. একই পদের মধ্যে ঋ, র, ষ বর্ণের পরে দন্ত্য 'ন' মূর্ধন্য 'ণ' হয়।যেমন: ঋণ, ঋনপত্র, ঋণজাল, ঋণশোধ, ঋণাত্মক, ঋণী, ঘৃণা, কৃষ্ণ, বর্ণ, বিষ্ণু, পূর্ণ, স্বর্ণ, জীর্ণ, ভীষণ, রণ, ক্ষণ, তৃণ, বরেণ্য, কর্ষণ, কর্ণ, মরণ, হরণ, মারণ, ধারণ, সাধারণ, চরণ, মুদ্রণ, মোক্ষণ, শরণ, শরণাপন্ন, শরণার্থী, কারণি, শরণ্য, শোষণ, রক্ষণাবেক্ষণ, রণকৌশল, রণন, রণসজ্জা, রসোত্তীর্ণ, লক্ষণ, লক্ষণীয় ইত্যাদি।
১০. পদের মধ্যে ঋ, র, ষ বর্ণের পরে স্বরবর্ণ, ক-বর্গ, প-বর্গ, য, ব(র), হ অথবা অনুস্বার 'ং' থাকে এবং তারপরে দন্ত্য 'ন' থাকে তাহলে সেই দন্ত্য 'ন' মূধন্য 'ণ' হয়। যেমন: কৃপণ, নির্বাণ, শ্রবণ, দর্পণ, হরিণ, রেণু, লক্ষণ, রামায়ণ, ভক্ষণ, পাষাণ, অর্পণ, আক্রমণ, গ্রহণ, প্রমাণ, রোপণ, সমর্পণ, চরণ, প্রায়ণ, কার্পণ্য, কারণ, কণা, খ-িত, খা-ব ইত্যাদি।
১১. 'আয়ন' শব্দের দন্ত্য 'ন' মূর্ধন্য 'ণ' হয়। যেমনÑ চন্দ্রায়ণ, রামায়ণ, নারায়ণ, শিবায়ণ, রূপায়ণ, পরায়ণ ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম ১. সমাসবদ্ধ শব্দের উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য থাকলে সেখানে ণ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়। যেমন: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নাম, দুর্নীতি, হরিনাম, বারনিধি।
২. দেশি ও তদ্ভব শব্দে ণ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়। যেমন : শ্রীমান্, রূপবান্, ঝরনা, রানী, পুরান (পুরাতন অর্থে) ইত্যাদি।
৩. বিদেশী শব্দের ণ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়। যেমন: কোরআন, ইরান, ট্রেন, গ্রীন, ইস্টার্ন, ইত্যাদি।
৪. ত-বগীয় বর্ণের সাথে মূর্ধন্য-ণ হয়না। যেমন: বৃন্ত, গ্রন্থ, বৃন্দ, বন্ধন, প্রান্ত, পান্থ, অন্ত, আনন্দ, অদ্ধ ইত্যাদি।
৫. ঋ, র, ষ, এরপর ক-বর্গ ব, প-বর্গ, ম, হ, ছাড়া অন্য বর্ণ থাকলে সেখানে ণ-ত্ব বিধান কার্যকর নয় যথা- নর্তন, কর্তন, দর্শন, প্রার্থনা,
৬. বাংলা ক্রিয়াবাচক শব্দে মূর্ধন্য-ণ হয়না, যেমন- ধরেন, পড়েন, করেন, মারেন, ইত্যাদি।
৭. সমাসবদ্ধ হয়ে একপদ হলে পূর্বপদে ঋ, র, ষ থাকলেও পরপদের দন্ত্য 'ন' মূর্ধন্য 'ণ' হয় না। যেমন: দুর্নাম, ত্রিনেত্র, মৃগনাভি ইত্যাদি।
৮. সম্বোধন পদের অন্তস্থিত দন্ত্য 'ন' মূর্ধন্য 'ণ' হয় না। যেমন: হে ধর্মচারিণ।
৯. তদ্ভব শব্দে সর্বদাই দন্ত্য 'ন' হয়। যেমন: সোনা (স্বর্ণ), বামুন (ব্রাক্ষণ), কান (কর্ণ) ইত্যাদি।
ষত্ব বিধান: যে বিধান বা নিয়ম অনুসারে পদমধ্যস্থিত দন্ত্য 'স' মূর্ধন্য 'ষ' হয়, তাকে ষত্ব বিধান বলে। মূর্ধন্য 'ণ' এর মতো মূর্ধন্য 'ষ' এরও খাঁটি উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য বাংলায় পরিলক্ষিত হয় না। শ, ষ ও স এ তিনটি বর্ণই বাংলায় 'শ' হিসেবে উচ্চারিত হয় কিন্তু সংস্কৃত ভাষায় শ, ষ ও স এই তিনটির আলাদা উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য আছে। তার অনুকরণে এমনকি খাঁটি বাংলা শব্দ অর্থাৎ অ-তৎসম শব্দেও মূর্ধন্য 'ষ' ব্যবহৃত হয়। যেমন: আউষ, ভাষা ইত্যাদি। কিন্তু ভাষাবিদদের মত হচ্ছে, তদ্ভব শব্দে মূর্ধন্য 'ষ' এর ব্যবহার না করাই উচিত। দেশী ও বিদেশী শব্দে উচ্চারণ অনুসারে কেবল শ, ষ এবং স ব্যবহারই সঙ্গত। যে সব তৎসম শব্দে ষ রয়েছে তা বাংলায় অবিকৃত রয়েছে।
ষ ব্যবহারের নিয়ম: বাংলা শব্দের বানানে দন্ত্য-স পরিবর্তিত হয়ে কখন কোন মূর্ধন্য-ষ হয়ে যায় যে-নিয়মের ফলে এমন ঘটে তারই নাম ষ-ত্ব বিধান। ১. অ, আ, এবং আ-কার ছাড়া অন্যান্য স্বরবর্ণের পরে বহুক্ষেত্রে ষ হয়ে থাকে।যেমন- ই : ইষু ঈ : ঈষ, ঈষৎ, বৈষ্ণব উ : উষ্ণ ঊ : ঊষর এ : এষণ, দ্বেষ, বিশেষ ঐ : ঐষিক, হিতৈষী ও : ওষধি, ওষুধ, পোষণ ঔ : ঔষধ, পৌষ ব্যাতিক্রম : দিশা, দেশ, বিশ, বিসদৃশ, বিসংবাদ ইত্যাদি। ২. ক, খ, প, ফ- এদের আগে ইঃ অথবা উৎ থাকলে, সন্ধির ফলে, বিসর্গের জায়গায়, সর্বদা মূর্ধন্য-ষ বসবে। যেমনঃ আবিঃ + কার = আবিষ্কার, আয়ুঃ +কাল = আয়ুকাল, পরিঃ+ কার = পরিষ্কার, দুঃ + কর = দুষ্কর, চতুঃ + পদ = চতুষ্পদ, নিঃ+ ফল = নিষ্ফল, চতুঃ + ফল = চতুষ্ফল
[লক্ষনীয় যে, ইঃ/উঃ-র জায়াগা হযদিঅঃ/আঃ থাকে তাহলে স হবে। তিরঃ +কার = তিরস্কার , মনঃ + কামনা = মনস্কামনা, পুরঃ + কার = পুরস্কাকার , ভাঃ + কর = ভাস্কর।
৩. রেফ, বা ঋ বা ঋ-কারের পরে মুর্ধন্য-ষ হবে। যেমন- কার্ষণ, ঋষি, বর্ষা , বৃষ, মহর্ষি, তৃষা, তৃষ্ণা, ঋষভ, ঋষিকল্প, ঋষিতা, ঋষ্য, কৃষি, কৃষ্টি, কৃষক, কৃষাণ, কৃষিজাত, কৃষিজীবি, দৃষ্টি, সৃষ্টি, সৃষ্ট, সৃষ্টিকর্তা, বর্ষণ, বৃষ্টি, বর্ষীয়ান, ভৃষব, বৃষল, বৃষলী, বৃষস্কন্ধ, ধৃষ্ট, ধৃষ্টতা, দৃষ্টান্ত, দৃষ্টান্তস্থল, দৃষ্টিকোণ, দৃষ্টিকৃপণ, দৃষ্টিপাত, দৃষ্টিনন্দন ইত্যাদি।
৪. ট, ঠ- এই দুটি বর্ণের পূর্বে সর্বদা ষ হবে, অর্থাৎ যুক্তক্ষরের রূপ হবে ষ্ট/ ষ্ঠ। যেমনঃ ষ্ট : সৃষ্টি, বৃষ্টি, অষ্টম, নষ্ট, কষ্ট, মিষ্ট, ওষ্ট, আদিষ্ট, নির্দিষ্ট, প্রবিষ্ট, বিনষ্ট ইত্যাদি। ষ্ঠ : ওঠা , কনিষ্ঠ, কাষ্ঠ, কোষ্ঠী, জ্যেষ্ঠ, গোষ্ঠী,বলিষ্ঠ ইত্যাদি।
৫. বাংলা ভাষার দেশী-বিদেশী শব্দ মিলে পঞ্চাশটিরও বেশি উপসর্গ আছে। এসব উপসর্গের মধ্যেই-কারান্ত এবং উ-কারান্ত উপসর্গের মধ্যে পরে মূর্ধন্য-ষ হবে। যেমন- আধিষদ (অথচ সভাষদ, সংসদ) অভিষেক (<অভি + সেক।অখচযথাস্থান) অনুষঙ্গ (অথচসঙ্গ, আসঙ্গ , প্রসঙ্গ) অনুষ্ঠান। (<অনু+স্থান।অতচঅস্থান, প্রস্থান), সুষম(অথচসম, অসম)।
৬. কতকগুলো শব্দ স্বভাবতই 'ষ' হয়। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, কষ, নিকষ, পাষাণ, ভাষা, ষোড়শ, ভাষণ, ষট্, প্রত্যুষ, পুরুষ, বিষ, শেষ, শোষণ, কর্ষণ, তুষার, ভূষা, মহিষ, বিশেষণ, ঈষৎ, কোষ, ঘর্ষণ, পোষণ, ভাষ্য, মানুষ, পৌষ, বিশেষ্য, বৃষ, মেষ, সুষম, হর্ষ, ভীষণ, ষড়যন্ত্র, দোষ, পাষ-, কষা, বিষয়, কিষাণ, ঘোষণা, বর্ষণ, ভূষণ, রোষ, বাষ্প, কলুষ, হ্রেষা, গ্রীষ্ম, অভিলাষ, ঈষৎ ইত্যাদি।
মনে রাখার জন্য পুরোটা একটা ছড়া উল্লেখ করা হল।যেমন -আষাঢ় ঈষৎ উষ্ণ উষা ঔষধ কোষ কর্ষণ ঘর্ষণ তুষার পুরুষ পুষ্প প্রত্যুষ পাষণ পোষ ভূষণ ভাষা ভীষণ মহিষ বিশেষ্য বিশেষণ বৃষ বিষ বিষাণ মুষিক মেঘ শোষণ ষোড়শ ষগু হর্ষ শেষ।
৭. অ, আ ভিন্ন স্বরবর্ণ এবং ক ও র-এর পর দন্ত্য 'স, মূর্ধন্য 'ষ' হয়। যেমন: ভীষণ, আকর্ষণ, সুষমা, ভূষণ, ইষ্ট, ইষ, ইষ্টদেবতা, ইষ্টনামা, ইষ্টলাভ, ইষ্টিকুটুম, কষ, কষা, কষাকষি, কষায়, কষিত, কষ্ট, কষ্টকর, কষ্টকল্পনা, কষ্টসহিষ্ণু, কষ্টসাধ্য, কষ্টার্জিত, গোষ্ঠী, গোষ্ঠ, গোষ্ঠলীলা, গোষ্পদ, গ্রীষ্ম, গ্রীষ্মকাল, পোষণ, পৌষ, বর্ষা, বিষয়, বিষ, ভবিষৎ, কর্ষণ, পরিষ্কার, মুমূর্ষু, জিগীষা, কল্যাণীয়েষু, চিকীর্ষা, বন্ধুবরেষু ইত্যাদি।
৮. নিঃ, দুঃ, বহিঃ, আবিঃ, চতুঃ, প্রাদুঃ এই শব্দগুলোর পরক, খ, প, ফ থাকলে বিসর্গ স্থানে মূর্ধন্য 'ষ' হয়। যেমন: নিঃ+কাম = নিষ্কাম, দুঃ+কর = দুষ্কর, বহিঃ+কার = বহিষ্কার, নিঃ+পাপ = নিষ্পাপ, আবিঃ+কার = আবিষ্কার ইত্যাদি।
৯. অতি, অভি প্রভৃতি ই-কারান্ত ইপসর্গ এবং অনু ও সু উপসর্গের পরে কতকগুলো ধাতুর দন্ত্য 'স' মূর্ধন্য 'ষ' হয়। যেমন: অদি+স্থান= অধিষ্ঠান, অনু+স্থান= অনুষ্ঠান, প্রতি+স্থিত= প্রতিষ্ঠিত, অভি+সেক=অভিষেক ইত্যাদি।
১০. দুটি পদ সমাসবদ্ধ হয়ে একপদে পরিণত হলে যদি প্রথম পদের অন্তে ই, উ, ঋ এবং ও থাকে, তবে পরবর্তী পদের আদ্য দন্ত্য 'স' মূর্ধন্য 'ষ'-তে পরিণত হয়। যেমনÑ সু + সম = সুষম, বি + সম = বিষম ইত্যাদি।
ব্যতিক্রম ১. বিদেশী শব্দে 'ষ' হয় না। যেমন: পোশাক, মাস্টার, স্কুল, স্টেশন, পোস্টার, পুলিশ, রেজিস্ট্রার, খ্রিস্ট, ট্যাক্র, মিসর, গ্রিস ইত্যাদি।
২. খাঁটি বাংলা শব্দে 'ষ' হয় না। যেমন: করিস, খেলিস, দেশি, মিশি, ঘা, নিশি, তোশক, মাস, মসা, জিনিস ইত্যাদি।
৩. সাৎ প্রত্যয়ের দন্ত্য 'স' মূর্ধন্য 'ষ' হয় না। যেমন: ভস্মসাৎ, ধূলিসাৎ, অগ্নিসাৎ, আত্মসাৎ, ভূমিসাৎ ইত্যাদি।
৪. দুটি পদ সমাসবদ্ধ হয়ে এক পদে পরিণত হলে মূর্ধন্য 'ষ' হয় না। যেমনÑ শত্রু + সেনা = শত্রুসেনা।
৫. বাংলা ক্রিয়ার মূর্ধন্য-ষ হয়না। যেমন - করিস, খাস ইত্যাদি।
কাজখুঁজি ডট কম এ রেজিষ্ট্রেশন করুন
কাজখুঁজি ডট কম এ রেজিষ্ট্রেশন করলে আপনি এর সকল ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ন ফ্রি!
Join as Candidate
ক্যান্ডিডেট হিসেবে জয়েন করে যা যা করতে পারবেন:
১. আপনার সিভি/রিজিউম আপডেট করতে পারবেন এবং অনলাইনের জব পোষ্টিংগুলিতে আবেদন করতে পারবেন।
Join as Candidate > From Candidate Menu: goto Resume & Jobs > Edit resume
২. আপনার পাবলিক প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন । এখান থেকে যে কেউ আপনাকে সহজে খুঁজে পাবে এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে
Join as candidate > goto your candidate dashboard > Create your public profile
From your candidate dashboard edit your public profile and you are done.
Click here to access public profiles
Featured Articles
Resume Structure for Government Jobs
Resume/CV
আইবিএ এবং কিকি বই পড়তে হবে: আইবিএর ডিগ্রী যদি হয় আপনার স্বপ্ন, তাহলে প্রস্তুতি শুরু করুন এখনই
Career Guide
জেনেনিন কি বোর্ড এর F1 থেকে F12 পর্যন্ত বাটন গুলোর কাজ
Computer and IT
বিভিন্ন শাস্ত্রের জনক (Father of Various Subjects)
International
ব্যাংক ভাইভা টার্ম (Bank viva Terms)
Bank
সরকারী চাকুরিতে আবেদনের বিভিন্ন নমুনা ফরম
Resume/CV
BCS Cadre Choice-বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার চয়েসঃ সুজন দেবনাথের জানালায়
BCS