বাংলা- লেকচার-২৫: বাংলা ব্যাকরণ (কারক এবং বিভক্তি)
Category: Bangla
Posted on: Wednesday, September 13, 2017
বাক্যের একটি শব্দের সঙ্গে আরেকটি শব্দের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য শব্দগুলোর সঙ্গে কিছু শব্দাংশ যুক্ত করতে হয়। এই শব্দাংশগুলোকে বলা হয় বিভক্তি।
মা শিশু চাঁদ দেখা। উপরের বাক্যটিতে কোন শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত করা হয়নি। ফলে বাক্যের শব্দগুলোর মধ্যে কোন সম্পর্ক সৃষ্টি হয়নি, এবং এগুলো বাক্যও হয়ে উঠতে পারেনি। এখন শিশু'র সঙ্গে কে বিভক্তি আর দেখা'র সঙ্গে চ্ছেন' বিভক্তি যোগ করলে বাক্যটি হবে- মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছেন। অর্থাৎ, শব্দগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে একটি বাক্য সম্পূর্ণ হলো এবং এখন আর এগুলো শব্দ নয়, এগুলো প্রত্যেকটি একেকটি পদ। শব্দের সঙ্গে বিভক্তি যুক্ত হলে তখন সেগুলোকে বলা হয় পদ। বাক্যে বিভক্তি ছাড়া কোন পদ থাকে না বলে ধরা হয়। তাই কোন শব্দে কোন বিভক্তি যোগ করার প্রয়োজন না হলেও ধরে নেয়া হয় তার সঙ্গে একটি বিভক্তি যুক্ত হয়েছে। এবং এই বিভক্তিটিকে বলা হয় শূণ্য বিভক্তি। উপরের বাক্যটিতে 'মা' ও 'চাঁদ' শব্দদুটির সঙ্গে কোন বিভক্তি যোগ করার প্রয়োজন হয়নি। তাই ধরে নিতে হবে এই শব্দদুটির সঙ্গে শূণ্য বিভক্তি যোগ হয়ে এগুলো বাক্যে ব্যবহৃত হয়েছে, এবং এই দুটিও এখন পদ। মৌলিক বাংলা শব্দ বিভক্তিগুলো হলো- শূণ্য বিভক্তি (০), এ, য়, তে, কে, রে, র(এর)। তবে এছাড়াও কিছু কিছু অব্যয় শব্দ কারক সম্বন্ধ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। এগুলো হলো- দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক, হতে, থেকে, চেয়ে, ইত্যাদি।
কারক: কারক শব্দটির অর্থ যা ক্রিয়া সম্পাদন করে। বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সংঙ্গ নাম পদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে। কারক ছয় প্রকার। যথা- কর্তৃকারক, কর্মকারক, করণ কারক, সম্প্রদান কারক, অপাদান কারক এবং অধিকরণ কারক।
বিভক্তি: বাক্যস্থিত একটি শব্দের সঙ্গে অন্য শব্দের অন্বয় সাধনের জন্য শব্দের সঙ্গে যে সকল বর্ণ যুক্ত হয় তাদের বিভক্তি বলে। যেমন- শিশুটি ছাদে বসে আছে। বাক্যটিতে ছাদে (ছাদ + এ বিভক্তি)। বিভক্তি প্রধানত দুই প্রকার: যথা- ১. নাম বা শব্দ বিভক্তি ২. ক্রিয়া বিভক্তি
বাংলা শব্দ বিভক্তি সাত প্রকার
বিভক্তি | একবচন | বহুবচন |
প্রথমা | ০ | গণ |
দ্বিতীয়া | কে, রে | দিগকে, দিগেরে |
তৃতীয়া | দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক | দিগের দিয়া, দিগকে দ্বারা, দিগ কর্তৃক |
চতুর্থী | কে, রে | দিগকে, দিগেরে |
৫মী | হইতে, থেকে, চেয়ে, হতে | দিগ হইতে, দিগের চেয়ে |
ষষ্ঠী | র, এর | দিগের, দের |
সপ্তমী | তে, এ, য় | দিগেতে, দিগে |
কারক নির্ণয়ের সহজ পদ্ধতি
বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে নামপদের সম্পর্ককে কারক বলে। অর্থাৎ, বাক্যের ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্যান্য পদের যে সম্পর্ক, তাকে কারক বলে। কারক ৬ প্রকার- ১. কর্তৃকারক ২. কর্মকারক ৩. করণকারক ৪. সম্প্রদান কারক ৫. অপাদান কারক ৬. অধিকরণ কারক নিচে কারক নির্ণয়ের উপায় সংক্ষেপে ছক আকারে দেয়া হলো-
ক্রিয়াকে প্রশ্ন | উত্তর যে কারক |
কে, কারা? | কর্তৃকারক |
কী, কাকে? | কর্মকারক |
কী দিয়ে? | করণকারক |
কাকে দান করা হল? | সম্প্রদান কারক |
কি হতে বের হল? | অপাদান কারক |
কোথায়, কখন, কী বিষয়ে? | অধিকরণ কারক |
কর্তৃকারক বাক্যস্থিত যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্তা বা কর্তৃকারক বলে। ক্রিয়াকে 'কে/ কারা' দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্তৃকারক। (কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের বাক্যে এই নিয়ম খাটবে না। সেক্ষেত্রে একটু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।) উদাহরণ- গরু ঘাস খায়। (কে খায়): কর্তৃকারকে শূণ্য বিভক্তি
কর্ম কারক • যাকে অবলম্বন করে কর্তা ক্রিয়া সম্পাদন করে, তাকে ক্রিয়ার কর্ম বা কর্মকারক বলে। • ক্রিয়াকে 'কী/ কাকে' দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, সেটিই কর্মকারক। • বাক্যে দুইটি কর্ম থাকলে বস্ত্তবাচক কর্মটিকে প্রধান বা মুখ্য কর্ম ও ব্যক্তিবাচক কর্মটিকে গৌণ কর্ম বলে। তবে দুইটি একই ধরনের কর্ম থাকলে প্রথম কর্মটিকে উদ্দেশ্য কর্ম ও দ্বিতীয়টিকে বিধেয় কর্ম বলে। যেমন- 'দুধকে মোরা দুগ্ধ বলি, হলুদকে বলি হরিদ্রা'। এখানে 'দুধ' ও 'হলুদ' উদ্দেশ্য কর্ম, 'দুগ্ধ' ও 'হরিদ্রা' বিধেয় কর্ম। • কর্তা নিজে কাজ না করে কর্মকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে তাকে প্রযোজক ক্রিয়ার কর্ম বলে। • ক্রিয়াপদ ও কর্মপদ একই ধাতু থেকে গঠিত হলে তাকে সমধাতুজ কর্ম বলে। [ক্রিয়াপদ]
উদাহরণ- #1. বাবা আমাকে একটি ল্যাপটপ কিনে দিয়েছেন। (কাকে দিয়েছেন? আমাকে। কী দিয়েছেন? ল্যাপটপ) : আমাকে- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম), ল্যাপটপ- কর্মকারকে শূণ্য বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)
#2. ডাক্তার ডাক। (কাকে ডাক?): কর্মকারকে শূণ্য বিভক্তি
#3. আমাকে একটা বই দাও। (কাকে দাও? আমাকে। কী দাও? বই): আমাকে- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (গৌণ কর্ম), বই- কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি (মুখ্য কর্ম)
#4. আমারে তুমি করিবে ত্রাণ, এ নহে মোর প্রার্থণা। (কাকে করিবে? আমারে): কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
#5. তোমার দেখা নাই। (কার দেখা? তোমার): কর্মকারকে ষষ্ঠী বিভক্তি
#6. জিজ্ঞাসিবে জনে জনে। (কাকে জিজ্ঞাসিবে? জনে জনে): কর্মকারকে সপ্তমী বিভক্তি
করণ কারক • করণ শব্দের অর্থ যন্ত্র, সহায়ক বা উপায়। • যে উপাদান বা উপায়ে ক্রিয়া সম্পাদন করা হয়, তাকে করণ কারক বলে। • ক্রিয়াকে 'কী দিয়ে/ কী উপায়ে' দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই করণ কারক।
উদাহরণ- #1. পিয়াল কলম দিয়ে লিখছে। (কী দিয়ে লেখে? কলম দিয়ে):করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি
#2. কীর্তিমান হয় সাধনায়। (কী উপায়ে হয়? সাধনায়): করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#3. ডাকাতেরা গৃহকর্তার মাথায় লাঠি মেরেছে। (কী দিয়ে মেরেছে? গুলি): করণ কারকে শূণ্য বিভক্তি
#4. লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হয়। (কী দিয়ে চাষ করা হয়? লাঙ্গল দিয়ে): করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি
#5. মন দিয়ে পড়াশুনা কর। (কী উপায়ে/ দিয়ে কর? মন দিয়ে): করণ কারকে তৃতীয়া বিভক্তি
#6. ফুলে ফুলে ঘর ভরেছে। (কী দিয়ে ভরেছে? ফুলে ফুলে): করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#7. শিকারি বিড়াল গোঁফে চেনা যায়। (কী দিয়ে/ উপায়ে চেনা যায়? গোঁফে): করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#8. সাধনায় সব হয়। (কী উপায়ে সব হয়? সাধনায়): করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#9. এ সুতায় কাপড় হয় না। (কী দিয়ে হয় না? সুতায়): করণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
সম্প্রদান কারক • যাকে স্বত্ব ত্যাগ করে কিছু দেয়া হয়, তাকে সম্প্রদান কারক বলে। • 'কাকে দান করা হল' প্রশ্নের উত্তরই হলো সম্প্রদান কারক। • সম্প্রদান কারকের নিয়ম অন্যান্য নিয়মের মতোই সংস্কৃত ব্যাকরণ থেকেই এসেছে। তবে অনেক বাংলা ব্যাকরণবিদ/ বৈয়াকরণ একে আলাদা কোন কারক হিসেবে স্বীকার করেন না। তারা একেও কর্ম কারক হিসেবেই গণ্য করেন। • কর্মকারক ও সম্প্রদান কারকের বৈশিষ্ট্যও একই। কেবল স্বত্ব ত্যাগ করে দান করার ক্ষেত্রে কর্মকারক হিসেবে গণ্য না করে কর্মপদটিকে সম্প্রদান কারক হিসেবে গণ্য করা হয়। • সম্প্রদান কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তির বদলে চতুর্থী বিভক্তি যুক্ত হয়। চতুর্থী বিভক্তি আর কোথাও যুক্ত হয় না। অর্থাৎ, 'কে/ রে' বিভক্তি দুটি সম্প্রদান কারকের সঙ্গে থাকলে তা চতুর্থী বিভক্তি। অন্য কোন কারকের সঙ্গে থাকলে তা দ্বিতীয়া বিভক্তি। • তবে কোথাও নিমিত্তার্থে 'কে' বিভক্তি যুক্ত হলে তা চতুর্থী বিভক্তি হয়। যেমন- বেলা যে পড়ে এল, জলকে চল। (নিমিত্তার্থে চতুর্থী বিভক্তি)
উদাহরণ- #1. ভিখারিকে ভিক্ষা দাও। (কাকে দান করা হল? ভিখারিকে।): সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি
#2. অসহায়কে খাদ্য দাও। (কাকে দান করা হল? অসহায়কে।): সম্প্রদান কারকে চতুর্থী বিভক্তি
#3. অন্ধজনে দেহ আলো, মৃতজনে দেহ প্রাণ। (কাকে দান করা হল? অন্ধজনে।): সম্প্রদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#4. সমিতিতে চাঁদা দাও। (কাকে দান করা হল? সমিতিতে।): সম্প্রদান কারকে সপ্তমী বিভক্তি
অপাদান কারক • যা থেকে কোন কিছু গৃহীত, বিচ্যুত, জাত, বিরত, আরম্ভ, দূরীভূত, রক্ষিত, ভীত হয়, তাকে অপাদান কারক বলে। • অর্থাৎ, অপাদান কারক থেকে কোন কিছু বের হওয়া বোঝায়। • 'কি হতে বের হল' প্রশ্নের উত্তরই অপাদান কারক।
উদাহরণ- #1. গাছ থেকে পাতা পড়ে। (কি হতে বের হল/ পড়ল? গাছ থেকে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
#2. শুক্তি থেকে মুক্তি মেলে। (কি হতে বের হল? শুক্তি থেকে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
#3. জমি থেকে ফসল পাই। (কি হতে বের হল? জমি থেকে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
#4. দেশ থেকে হায়েনারা চলে গেছে। (কি হতে বের হল? দেশ থেকে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
#5. বিপদ থেকে বাঁচাও। (কি হতে বাঁচাও? বিপদ হতে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
#6. বাঘকে ভয় পায় না কে? (কি হতে ভয় বের হল? বাঘ হতে): অপাদান কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
#7. মনে পড়ে সেই জৈষ্ঠ্যের দুপুরে পাঠশালা পলায়ন। (কি হতে বের হল/ পলায়ন? পাঠশালা হতে): অপাদান কারকে শূণ্য বিভক্তি
#8. বাবাকে বড্ড ভয় পাই। (কি হতে ভয় বের হয়? বাবা হতে): অপাদান কারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি
#9. তিনি চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। (কি হতে বের হয়েছেন/ এসেছেন? চট্টগ্রাম হতে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
#10. বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছিলো। (কি হতে বের হল/ ফেলা হল? বিমান হতে): অপাদান কারকে পঞ্চমী বিভক্তি
অপাদান কারকের বিস্তারিত প্রচলিত বাংলা ব্যাকরণের কারক-এর একটি শ্রেণি। বাংলা ব্যাকরণে অপাদান কারক এসেছে পাণিনি'র অষ্টাধ্যায়ী অনুসরণে। পাণিনির মতে- 'ধ্রুবমপায়েহপাদানাম্। অপায়ে যদুদার্সীনং চলং বা যদি বাচলম্। ধ্রুবমেবাতদাবেশাৎ তদপাদানমুচ্যতে॥'
বিদ্যাসাগর এর সংজ্ঞা দিয়েছেন- 'যাহা হইতে বিশ্লেষ হয়, তাহাকে অপাদান কারক বলে। সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর 'ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা-ব্যাকরণ ' গ্রন্থে এই কারকের সংজ্ঞা দিয়েছেন- 'যাহা হইতে কোনও বস্তু বা ব্যক্তি উৎপন্ন, চলিত, নির্গত, নিঃসৃত, উত্থিত, পতিত, প্রেরিত, গৃহীত, দৃষ্ট, শ্রুত, সূচিত, নিবারিত, অন্তর্হিত, রক্ষিত ইত্যাদি হয়- তাহাকে অপাদান-কারক বলে।'
সুনীতি চট্টোপাধ্যায়ের সংজ্ঞাটিই বাংলা ব্যাকরণে প্রমিত সংজ্ঞা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই কারক নির্ণয়ের সূত্র হলো- বাক্যানুসারে 'কি থেকে' বা 'কিসের থেকে' প্রশ্ন সাপক্ষে যদি উত্তর পাওয়া যায়, তবে তা অপাদান কারক হিসাবে বিবেচিত হবে। ছাদ থেকে পানি পড়ছে। পুকুর থেকে ফিরে এলাম। ইত্যাদি।
এই কারকের জন্য সাধারণত হইতে>হতে, থেকে, চাহিয়া>চেয়ে বিভক্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ব্যাকরণ এগুলোকে কারক-বিভক্তির তালিকায় পঞ্চমী বিভক্তি বলা হয়। এই বিভক্তিগুলো শব্দের সাথে যুক্ত অবস্থায় ব্যবহৃত হয়। তাই এগুলোর মান দাঁড়ায় অনুসর্গের মতো। যেমন- ছাদ থেকে পানি পড়ছে। পুকুর থেকে ফিরে এলাম। ইত্যাদি।
পঞ্চমী বিভক্তি ছাড়াও অপাদান কারক হতে পারে। যেমন- ১. এ বিভক্তি : লোকমুখে এ কথা জেনেছি। ২. তে বিভক্তি : খনিতে সোনা পাওয়া যায়। ৩. র/এর : রাতে বাঘের ভয়ে ঘরের বাহির হই না।
সম্বন্ধ পদ ও অপাদানের সম্পর্ক অনেক ক্ষেত্রেই অনুসর্গের পূর্বপদের সাথে একটি সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। এ ক্ষেত্রে পূর্ব পদে ষষ্ঠী বিভক্তি যুক্ত হলেও কারক বিভক্তি হিসাবে এই ষষ্ঠী বিভক্তি মূল্য পায় না। এক্ষেত্রে ষষ্ঠী বিভক্তি কতকগুলো বিশেষ রীতি অনুসরণ করে।
#তুলনা-বাচক ভাবের ক্ষেত্রে পূর্ব পদে র বা এর বসে। যেমন- রামের চেয়ে শ্যাম ছোটো।
#সর্বনামের পরে চেয়ে, থেকে, হতে অনুসর্গ থাকলে, সর্বনামের পরে ষষ্ঠী বিভক্তি বসে।যেমন- আমার থেকে সে বেশি জানে না। তার চেয়ে শ্যাম ভালো লোক। তোমার চেয়ে এ কাজ আর কে ভালো করবে?
#কিন্তু যখন কোনো কিছু প্রাপ্তি বা অপ্রাপ্তি (ভয়, আশা, বিশ্বাস ইত্যাদি অর্থে) বিষয়টি এর সাথে যুক্ত হয়, তখন অতিরিক্ত অনুসর্গ যুক্ত হতে পারে। যেমন- তার কাছ থেকে ১০০ টাকা পেয়েছি। তোমার কাছ থেকে এটা আশা করি নি।
#তবে এই অতিরিক্ত অনুসর্গ বাদ দিয়েও বাক্য হতে পারে। যেমন- তার থেকে ১০০ টাকা পেয়েছি।
#বিশেষ্য পদের 'র' বা 'এর' ব্যবহৃত হয়। তবে বাহুল্য বিবেচনায় অনেক সময় তা বর্জিত হয়। যেমন- তুমি দেশের থেকে কবে ফিরলে? কিম্বা তুমি দেশ থেকে কবে ফিরলে?
অপাদান ও অধিকরণের সম্পর্ক অধিকাংশ ক্ষেত্রে অপাদান কারকের সাথে অধিকরণের একটি নিবিড় সম্পর্ক লক্ষ্য করা যায়। যেমন- ১. স্থানবাচক অপাদান : ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরলাম। ['ঢাকা' স্থান, কিন্তু কারকের বিচারে 'ঢাকা থেকে' অপাদান] ২. কাল বাচক অপাদন : সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ['সকাল' কাল বা সময়, কিন্তু কারকের বিচারে 'সকাল থেকে' অপাদান] ৩. আধার বাচক অপাদান : তিল থেকে তেল হয়। ['তিল' আধার বা পাত্র, কিন্তু কারকের বিচারে 'তিল থেকে' অপাদান]
এছাড়া তারতম্যের বিচারে অপাদান হয়। যেমন- আমার চেয়ে সে চালাক।
অধিকরণ কারক • ক্রিয়া সম্পাদনের কাল এবং আধারকে (সময় এবং স্থানকে) অধিকরণ কারক বলে। • ক্রিয়াকে 'কোথায়/ কখন/ কী বিষয়ে' দিয়ে প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাই অধিকরণ কারক।
উদাহরণ- #1. পুকুরে মাছ আছে। (কোথায় আছে? পুকুরে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#2. বনে বাঘ আছে। (কোথায় আছে? বনে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#3. ঘাটে নৌকা বাঁধা আছে। (কোথায় বাঁধা আছে? ঘাটে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#4. রাজার দুয়ারে হাতি বাঁধা। (কোথায় বাঁধা? দুয়ারে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#5. সকালে সূর্য ওঠে। (কখন ওঠে? সকালে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#6. এ বাড়িতে কেউ নেই। (কোথায় কেউ নেই? বাড়িতে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#7. নদীতে পানি আছে। (কোথায় আছে? নদীতে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#8. রবিন অঙ্কে কাঁচা। (কী বিষয়ে কাঁচা? অঙ্কে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#9. সজিব ব্যাকরণে ভাল। (কী বিষয়ে কাঁচা? ব্যাকরণে): অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তি
#10. ঘরের মধ্যে কে রে? (কোথায়? ঘরে): অধিকরণ কারকে অনুসর্গ মধ্যে
#11. বাড়ি থেকে নদী দেখা যায়। (কোথায় থেকে দেখা যায়? বাড়ি থেকে): অধিকরণে পঞ্চমী বিভক্তি*
শেষ উদাহরণটিতে নদী বাড়ি থেকে বের হয়নি, তাই এটি অপাদান কারক নয়। নদী বাড়ি থেকেই দেখা যায়। অর্থাৎ, ক্রিয়াটি বাড়িতেই ঘটছে, তাই এটি অধিকরণ কারক।
অপাদান-অধিকরণ কারকের পার্থক্য অপাদান ও অধিকরণ কারক আলাদা করতে গিয়ে অনেকেরই সমস্যা হয়। অপাদান ও অধিকরণ কারককে আলাদা করে চেনার সহজ উপায় হলো, অপাদান কারক থেকে কোন কিছু বের হয় বোঝায়। আর অধিকরণ কারকের মাঝেই ক্রিয়া সম্পাদিত হয়। যেমন- 'তিলে থেকে তেল হয়' আর 'তিলে তেল আছে'। প্রথম বাক্যে তিলের ভেতর ক্রিয়া সংঘটিত হয়নি। বরং তিল থেকে তেল বের হওয়ার কথা বোঝাচ্ছে। আর দ্বিতীয় বাক্যে তিলের ভেতরই তিল থাকার কথা বলছে। এই 'আছে' ক্রিয়াটি তিলের ভেতরে থেকেই কাজ করছে। এরকম- 1. বিপদ থেকে বাঁচাও- অপাদান কারক 2. বিপদে বাঁচাও- অধিকরণ কারক 3. শুক্তি থেকে মুক্তি মেলে- অপাদান কারক 4. শুক্তিতে মুক্তি হয়- অধিকরণ কারক 5. জমি থেকে ফসল পাই- অপাদান কারক 6. জমিতে ফসল হয়- অধিকরণ কারক
বিভিন্ন ধরনের কারক ও বিভক্তির উদাহরণ
ইহা করিমের বিবেচ্য নহে | কর্তায় ৬ষ্ঠী |
সূর্য উঠিলে রাত্রির অন্ধকার দূর হয় | কর্তায় শূন্য |
দারা নামে পারশ্যের এক রাজা ছিলেন | কর্তায় শূন্য |
করিমের না গেলে নয় | কর্তায় ৬ষ্ঠী |
সর্বাঙ্গ দংশিল মোর নাগ-নাগবালা | কর্তায় শূন্য |
ফুলদল দিয়া কাটিলা কি বিধাতা শাল্মালী তরুবরে? | কর্মে ৭মী |
বিহগে ললিত গীতি শিখায়েছে ভালবাসি | কর্মে ৭মী |
আমার ভাত খাওয়া হইল না | কর্মে শূন্য |
সর্বাঙ্গে ব্যথা, ওষুধ দিব কোথা ? | কর্মে শূন্য |
শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে | কর্মে শূন্য;অধিকরণে ৭মী |
রাক্ষসে বধিবে ভীম তোমার প্রসাদে | কর্মে ৭মী করণে ৭মী |
গৃহহীনে গৃহ, দিলে আমি থাকি ঘরে | কর্মে ৭মী |
মীরা বাগানে ফুল তুলিতেছে | কর্মে শূন্য |
বইখানা ধরো | কর্মে শূন্য |
পাহাড় নড়ায় সাধ্য কার ? | কর্মে শূন্য |
আমি কখনও ঢাকা দেখি নাই | কর্মে শূন্য |
তোমায় দেখলেও পাপ | কর্মে ৭মী |
সোনা গলাইয়া গহনা করা হয় | কর্মে শূন্য |
গীর্জায় গিয়া যীশু ভজে সে | কর্মে শূন্য |
মা শিশুকে চাঁদ দেখাইল | কর্মে শূন্য |
কি সাহসে এমন কথা করিতেছে | কর্মে ৭মী |
সে সম্পত্তি নষ্ট করিয়াছে | কর্মে শূন্য |
তাহার দেখা পাওয়া দুষ্কর | কর্মে ৬ষ্ঠী |
অর্থ অনর্থ ঘটায় | কর্মে শূন্য |
চোরাবাজারী দমন করিবে কে | কর্মে শূন্য |
জিজ্ঞাসিব জনে জনে | কর্মে ৭মী |
কেন বঞ্চিত হব ভোজনে | কর্মে ৭মী |
ডাক্তারকে ডাক | কর্মে ২য়া |
তুমি কি চাও | কর্মে শূন্য |
ধৈর্য ধর, বাঁধ বুক | কর্মে শূন্য |
কোথা সে ছায়া সখি কোথা সে জল | কর্মে শূন্য |
চোর ধৃত হইয়াছে | কর্মে শূন্য |
চাহিনা করিতে বাদ-প্রতিবাদ | কর্মে শূন্য |
সে তিনদিন পথ চলিল | কর্মে শূন্য |
সারারাত জাগিয়া কাটাইয়াছি | কর্মে শূন্য |
ডাক্তার ডাকো | কর্মে শূন্য |
রাখাল গরু চরায় | কর্মে শূন্য |
বৃথা গঞ্জ দশাননে | কর্মে ৭মী |
সে তুর্কি নাচন নাচিল | কর্মে শূন্য |
সমিতিতে চাঁদা দাও | সম্প্রদানে ৭মী, কর্মে শূন্য |
সে খুব ঠকান ঠকাইয়াছে | কর্মে শূন্য |
মশা মেরে হাত কালো করো না | কর্মে শূন্য |
আমি কখনো গঙ্গা দেখি নাই | কর্মে শূন্য |
এমন চোরের মত বাঁচা বাঁচিতে চাইনা | কর্মে শূন্য |
এ বয়সে ঢের দেখা দেখেছি | কর্মে শূন্য |
ওই ফুলটি তুলিও না | কর্মে শূন্য |
এমন অদ্ভুত জন্তু কেহ কখনও দেখে নাই | কর্মে শূন্য |
যাদুকর একটি আলুকে ডিম বানাইল | কর্মে ২য়া, কর্মে শূন্য |
তাহার এক সপ্তাহ জ্বর হইয়াছে | কর্মে শূন্য |
পাপীকে ধিক | কর্মে ২য়া |
আমি তোমা বিনা আর কাহাকেও জানি না | কর্মে শূন্য |
এমন মেয়ে তো দেখি নাই | কর্মে শূন্য |
বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করো | কর্মে শূন্য |
সে বছর ফাঁকা পেনু কিছু টাকা | কর্মে শূন্য |
গুরুজনে কর নতি | কর্মে ৭মী |
তাস খেলে পড়া নষ্ট করো না | করণে শূন্য,কর্মে শূন্য |
আমার সোনার ধানে গিয়াছে ভরি | করণে ৭মী |
তাস খেলে পড়া নষ্ট কত ছেলে করে | করণে শূন্য,কর্মে শূন্য |
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে | ব্যাপ্তার্থেশূন্য;করণে ৭মী |
আমরা কানে শুনি | করণে ৭মী |
আলোয় আঁধার কাটিয়া যায় | করণে ৭মী |
সোজা পথে চলো না কেন ? | করণে ৭মী |
টাকায় বাঘের দুধ মিলে | করণে ৭মী |
ব্যায়ামে শরীর ভাল থাকে | করণে ৭মী |
শিকারী বিড়াল গোঁফে চিনা যায় | করণে ৭মী |
কালির দাগ সহজে উঠে না | করণে ৬ষ্ঠী |
নৌকাতে নদী পার হওয়া যায় | করণে ৭মী |
শরতে ধরাতল শিশিরে ঝলমল | করণে ৭মী |
নূতন ধান্যে হবে নবান্ন | করণে ৭মী |
ইট-পাথরের বাড়ি বড় শক্ত | করণে ৬ষ্ঠ |
এ কাজ আপনি নিজ হাতে করুন | করণে ৭মী |
প্রাণপণে চেষ্টা কর | করণে ৭মী |
এ কলমে ভাল লেখা হয় না | করণে ৭মী |
হাতে না মারিয়া ভাতে মারিব | করণে ৭মী |
কলমের খোঁচা দিও না | করণে ৬ষ্ঠী |
জ্যোৎস্নাতে আলোকিত এই রাত্রি | করণে ৭মী |
সে চাকর দ্বারা রান্না করায় | করণে ৩য়া |
হাতের তৈয়ারী জিনিস আমার প্রিয় | করণে ৬ষ্ঠী |
তাহারা পাশা খেলিতেছে | করণে শূন্য |
জ্ঞানে বিমল আনন্দ লাভ হয় | করণে ৭মী |
বিপদে সে উতলা হইয়াছে | করণে ৭মী |
পুত্র হতে পিতৃসুখ আর হবে না | করণে ৫মী |
জাহাজে সাগর পার হওয়া যায় | করণে ৭মী |
হট্টমালার দেশে, তারা গাই-বলদে চষে | করণে ৭মী |
শিক্ষক ছেলেটিকে বেত মারিলেন | করণে শূন্য |
লাঠির আঘাতে মাথা ভাঙ্গিয়া দিল | করণে ৭মী |
অন্ধজনে দেহ আলো | সম্প্রদানে ৭মী |
বাষ্পে কল চালানো হয় | করণে ৭মী |
সময়ে সবই হয় | করণে ৭মী |
তোমার মহিমা যেন জ্বলন্ত অক্ষরে লেখা | করণে ৭মী |
আকাশ মেঘে ঢাকা | করণে ৭মী |
তোমার দুঃখে শিয়াল কুকুর কাঁদিবে | করণে ৭মী |
ব্যাপারটি তিন দিনে মিটিয়া গেল | করণে ৭মী |
দুই দন্ডে চলে যায় দু'দিনের পথ | করণে ৭মী |
দুঃখের বেশে এসেছ বলে তোমারে নাহি ডরিব হে | করণে ৭মী |
ব্যবহারেই ইতর-ভদ্র চেনা যায় | করণে ৭মী |
সে চোখে-মুখে কথা বলে | করণে ৭মী |
মাংস আগুনে সিদ্ধ কর | করণে ৭মী |
সে কানে শোনে না | করণে ৭মী |
সে পীড়ায় দুর্বল হয়ে পড়েছে | করণে ৭মী |
পাখিকে তীর মারো | করণে শূন্য |
মদে তাহার সর্বনাশ হইয়াছে | করণে ৭মী |
শ্রম বিনা ধনলাভ হয় না | করণে শূন্য |
উদ্যম বিহনে কার পুরে মনোরথ | করণে শূন্য |
আগুনে সেক দাও | করণে ৭মী |
জটাতে তাপস চিনি | করণে ৭মী |
ধর্মের কল বাতাসে নড়ে | করণে ৭মী |
একদা প্রভাতে ভানুর 'প্রভাতে' ফুটিলে কমলগুলি | করণে ৭মী |
এ যে লেজে খেলায় | করণে ৭মী |
সর্বশিষ্যে জ্ঞান দেন গুরুমহাশয় | সম্প্রদানে৭মী |
না মরে পাষাণ বাপ দিলা হেন বরে | সম্প্রদানে ৭মী |
প্রিয়জনের যাহা দিতে পাই, তাই দিই দেবতারে | সম্প্রদানে ৭মী; সম্প্রদানে ৪র্থী |
তোমায় কেন দেইনি আমার সকল শূন্য করে | সম্প্রদানে ৭মী |
অন্ধজনে দয়া কর | সম্প্রদানে ৭মী |
সকল কর্মফল ভগবানে অর্পণ কর | সম্প্রদানে ৭মী |
সৎপাত্রে কন্যাদান করিও | সম্প্রদানে ৭মী |
সৈন্যদল যুদ্ধে যাইতেছে | সম্প্রদানে ৭মী |
দরিদ্র ধনীকে ঈর্ষা করে | সম্প্রদানে ৪র্থী |
পূজিয়ে দেবতাগণে | সম্প্রদানে ৭মী |
তারা তীর্থে যাত্রা করল | সম্প্রদানে ৭মী |
মৃতজনে দেহ প্রাণ | সম্প্রদানে ৭মী |
আমায় একখানা বস্ত্র দাও | সম্প্রদানে ৭মী |
চিররোগী কি আশায় বাঁচে | সম্প্রদানে ৭মী |
গত বিষয়ের জন্য শোক করিও না | সম্প্রদানে ৬ষ্ঠী |
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু | সম্প্রদানে ৬ষ্ঠী |
শুধু বৈকুন্ঠের তরে নহে বৈষ্ণবের গান | সম্প্রদানে ৬ষ্ঠী |
পরীক্ষা আসিলে তাই চোখে জল ঝরে | অপাদানে ৭মী |
বিপদে মোরে রক্ষা করো | অপাদানে ৭মী |
তোমার চেয়ে বড় বন্ধু আমার নাই | অপাদানে ৫মী |
চোরের মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে | অপাদানে ৩য়া |
সরিষা হইতে তৈল হয় | অপাদানে ৫মী |
তিলে তৈল হয় | অপাদানে ৭মী |
ধর্ম হইতে বিচলিত হইও না | অপাদানে ৫মী |
জলে বাষ্প হয় | অপাদানে ৭মী |
লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু | অপাদানে ৭মী করণে ৭মী |
হামিদ ওদের বাড়ি খেয়ে এসেছে | অপাদানে শূন্য |
লোকমুখে শুনা যায় | অপাদানে ৭মী |
মেঘে বৃষ্টি হয় | অপাদানে ৭মী |
চোরের ভয়ে ঘুম আসে না | অপাদানে ৬ষ্ঠী |
সুখের চেয়ে শান্তি ভাল | অপাদানে ৫মী |
সর্বভূতে ধন দাও | সম্প্রদানে ৭মী |
প্রভাতে উঠিল রবি লোহিত বরণ | অধিকরণে ৭মী |
আমাদের ছাদে পানি পড়ে | অপাদানে ৭মী |
পরের মুখে শেখা বুলি | অপাদানে ৭মী |
দুধে ছানা হয় | অপাদানে ৭মী |
বড় দুঃখে আপনার শরণ লইয়াছি | অপাদানে ৭মী |
উর্মি কখন ঢাকা ছাড়ে | অপাদানে শূন্য |
সাগরে মুক্তা মিলে | অপাদানে ৭মী |
বাঘের ভয়ে রাতে ঘর থেকে বের হওয়া যায় না | অপাদানে ৬ষ্ঠী |
এ মেঘে বৃষ্টি হয় না | অপাদানে ৭মী |
আমার বাড়ি থেকে আজানের ধ্বনি শোনা যায় | অপাদানে ৫মী |
মীনার চেয়ে নীলা বড় | অপাদানে ৫মী |
পড়ায় বিরত হয়ো না | অপাদানে ৭মী |
এই গ্রামে সাপের ভয় দেখা দিয়াছে | অপাদানে ৬ষ্ঠী |
পাপে বিরত হও | অপাদানে ৭মী |
পাপী পশুর অধম | অপাদানে ৬ষ্ঠী |
পাপ হইতে পূণ্য পৃথক | অপাদানে ৫মী |
আমি কি ডরাই কভু ভিখারী রাঘবে | অপাদানে ৭মী |
কত ধানে কত চাল, সে আমি জানি | অপাদানে ৭মী |
সারা দুপুর দোকান পালিয়ে কোথা ছিলি | অপাদানে শূন্য |
সব ঝিনুকে মুক্তা মিলেনা | অপাদানে ৭মী |
যেখানে বাঘের ভয়, সেখানে সন্ধ্যা হয় | অপাদানে ৬ষ্ঠী |
কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল | অধিকরণে ৭মী |
দেবতার ধন কে যায় ফিরায়ে লয়ে এই বেলা শোন | সম্বন্ধে ৬ষ্ঠী; অধিকরণে শূন্য |
অঙ্গে আঁচল সুনীল বরণ, রুনুঝুনু রবে- | অধিকরণে ৭মী কর্তায় শূন্য |
সন্ন্যাসী গায়ে লাগিতে চরণ থামিল | অধিকরণে ৭মী, কর্তায় শূন্য |
পাতায় পাতায় পড়ে নিশির শিশির | অধিকরণে ৭মী |
করিলাম মন শ্রীবৃন্দাবন বারেক আসিব ঘুরি | অধিকরণে শূন্য; অপাদানে শূন্য |
এ বৎসর ভাল ফসল জন্মিয়াছে | অধিকরণে শূন্য |
ছেলেরা ছাদ থেকে ঘুড়ি উড়াচেছ | অধিকরণে ৫মী |
বইখানি ঘরেই ছিল | অধিকরণে ৭মী |
সমুদ্রে লবণ আছে | অধিকরণে ৭মী |
সরোবরে পদ্ম জন্মে | অধিকরণে ৭মী |
একদিন পাপের ফল ফলিবে | অধিকরণে শূন্য |
প্রাসাদ হইতে তাহাকে ডাকিলাম | অধিকরণে ৫মী |
আমি শনিবার ঢাকা যাবো | অধিকরণে শূন্য |
রাতে তারা দেখা যায় | অধিকরণে ৭মী |
বসন্তে নানা রকমের ফুল ফোটে | অধিকরণে ৭মী |
সে বাড়ি নাই | অধিকরণে শূন্য |
তুমি কি ময়মনসিংহ যাইবে | অধিকরণে শূন্য |
গুন্ডারা পথিকের মাথায় লাঠি মারিয়াছে | অধিকরণে ৭মী |
একা যাব বর্ধমান করিয়া যতন | অধিকরণে শূন্য |
শুক্রবার স্কুল বন্ধ থাকে | অধিকরণে শূন্য |
আজকে আমার যাওয়া হবে না | অধিকরণে ২য়া |
জাহাজ হইতে দেখিলাম | অধিকরণে ৫মী |
লঙি এ সিন্ধুর প্রলয়ের নৃত্যে | অধিকরণে ৬ষ্ঠী, কর্মে ৭মী |
নদীতে এখন জোয়ার আসিবে | অধিকরণে ৭মী |
কলসীটা কানায় কানায় ভরিয়া গিয়াছে | অধিকরণে ৭মী |
এ বৎসর বড়ই বিপদ | অধিকরণে শূন্য |
ঘরকে যাও | অধিকরণে ২য়া |
বইটি ঘরেই আছে | অধিকরণে ৭মী |
জলে কুমির, ডাঙায় বাঘ | অধিকরণে শূন্য |
তিন রাত তার ঘুম হয়নি | অধিকরণে শূন্য |
সূযোর্দয়ে অন্ধকার দূর হইল | অধিকরণে ৭মী |
এ সময় তার দেখা মেলা ভার | অধিকরণে শূন্য |
ভোর সূর্য ওঠে | অধিকরণে ৭মী |
আজ হবে না কাল এসো | অধিকরণে শূন্য |
রবিবার স্কুল বন্ধ থাকে না | অধিকরণে শূন্য |
বাড়ি যাও | অধিকরণে শূন্য |
একদিন যাবো | অধিকরণে শূন্য |
দরজায় হাতি বাঁধা আছে | অধিকরণে ৭মী |
বাদুড় দিনে ঘুমায় | অধিকরণে শূন্য |
ছায়ায় বস | অধিকরণে ৭মী |
প্রাতঃকালে ভ্রমণ করিবে | অধিকরণে ৭মী |
ফলে না সকল বৃক্ষে সমধুর ফল | অধিকরণে ৭মী |
অতিবড় বৃদ্ধ পতি সিদ্ধিতে নিপুণ | অধিকরণে ৭মী |
বিদ্যালাভে যত্ন কর | অধিকরণে ৭মী |
ঘরেতে ভ্রমর এল গুনুগুনিয়ে | অধিকরণে ৭মী |
কাজখুঁজি ডট কম এ রেজিষ্ট্রেশন করুন
কাজখুঁজি ডট কম এ রেজিষ্ট্রেশন করলে আপনি এর সকল ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ন ফ্রি!
Join as Candidate
ক্যান্ডিডেট হিসেবে জয়েন করে যা যা করতে পারবেন:
১. আপনার সিভি/রিজিউম আপডেট করতে পারবেন এবং অনলাইনের জব পোষ্টিংগুলিতে আবেদন করতে পারবেন।
Join as Candidate > From Candidate Menu: goto Resume & Jobs > Edit resume
২. আপনার পাবলিক প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন । এখান থেকে যে কেউ আপনাকে সহজে খুঁজে পাবে এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে
Join as candidate > goto your candidate dashboard > Create your public profile
From your candidate dashboard edit your public profile and you are done.
Click here to access public profiles
Featured Articles
Resume Structure for Government Jobs
Resume/CV
আইবিএ এবং কিকি বই পড়তে হবে: আইবিএর ডিগ্রী যদি হয় আপনার স্বপ্ন, তাহলে প্রস্তুতি শুরু করুন এখনই
Career Guide
জেনেনিন কি বোর্ড এর F1 থেকে F12 পর্যন্ত বাটন গুলোর কাজ
Computer and IT
বিভিন্ন শাস্ত্রের জনক (Father of Various Subjects)
International
ব্যাংক ভাইভা টার্ম (Bank viva Terms)
Bank
সরকারী চাকুরিতে আবেদনের বিভিন্ন নমুনা ফরম
Resume/CV
BCS Cadre Choice-বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার চয়েসঃ সুজন দেবনাথের জানালায়
BCS