৩৬ তম ভাইভা পরীক্ষা নিয়ে কিছু পরামর্শ
Category: BCS
Posted on: Tuesday, September 19, 2017
ভাইভা পরীক্ষা মানেই একটা psychological game. ভাইভাতে যে যত মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পারবে তার ভালো করার সম্ভাবনাও বেশিই থাকবে । ভাইভার প্রধান শত্রু হচ্ছে নার্ভাসনেস এবং আত্মবিশ্বাস এর অভাব । এভাবে চিন্তা করে দেখুন, আপনি যদি সামান্য ভাইভা পরীক্ষাতেই কারন ছাড়া নার্ভাস থাকেন তাহলে এত বড় পোস্টের চাকুরীতে গিয়ে তো পদে পদে নার্ভাস হয়ে পড়বেন । আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে, আর খুব বেশি সিরিয়াস থাকা যাবেনা । অতিরিক্ত সিরিয়াসনেস অতিরিক্ত নার্ভাস এর কারন হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময় । ভাইভা বোর্ডে যাওয়ার সময় কিছু বিষয়ে আপনার খেয়াল রাখতে পারলে ভালো------
১- আপনার পোশাক যেন মার্জিত হয় । খুব বেশি রঙচঙে পোশাক না পড়াই ভালো । আপনাকে দেখে যেন একজন কর্মকর্তা বা অফসিয়াল কেউ মনে হয় ।
২- সাথে দরকারি সব কাগজাদি ফটোকপিসহ নিয়ে যাবেন সত্যায়িত করে । ভাইভা বোর্ডে সাথে মোবাইল না রাখাই শ্রেয় ।
৩- আগের দিন অবশই ভালো একটা ঘুম না হলে আপনার মাথা সময়মত কাজ নাও করতে পারে,আগের দিনের ২-৩ ঘণ্টা বেশি স্টাডি করে খুব একটা লাভ হয়না । পরীক্ষার আগেরদিন খুব বেশি চাপ নিতে যাবেন না ।
৪- ভাইভা বোর্ডে চেয়ারের হাতলে বা টেবিলে হাত রাখবেন না , সোজা সাবলীলভাবে বসবেন ।
৫- যা বলবেন স্পষ্টভাবে বলবেন , কথা বলার সময় হাত নাড়াবেন না ,তাড়াহুড়ো করবেন না ,সময় নিয়ে একটু চিন্তা করে উত্তর দিন এবং কথা বলুন ,মনে রাখবেন স্যাররা বোর্ডে বসে ভাবেন যে আপনি একজন অফিসার হিসেবে মানান কিনা বা এই পদের জন্য আপনি যোগ্য কিনা ?ওই ২-১ টা প্রশ্ন পারা না পারাতে কিচ্ছু আসেনা ,তবে আপনি যদি একদম সামান্য বিষয় যা সবাই জানে তা উত্তর দিতে না পারেন সেটা আপনার নেগেটিভ কিছু ।
৬- নিজের যেকোনো মুদ্রাদোষ গুলোকে পরিহার করুন ।
৭- যারা ভাইভা নিয়ে থাকেন স্যাররা আমাদের মতই মানুষ , তাদের দৈত্য ভেবে ঘাবড়ে বসবেন না ,অজস্র পরীক্ষার্থী খুব ভালো প্রস্তুতি নিয়ে ভাইভা বোর্ডে গিয়ে সব গুলিয়ে ফেলে । যে যত easy থাকবে তার ভাইভা ভালো হবার সম্ভাবনা তত বেশি ।
৮- অনেক সময় স্যাররা ঘাবড়ানোর বা রাগানোর চেষ্টা করতে পারেন ,তখন ঠাণ্ডা মাথায় defend করুন । মাথা কখনো গরম করবেন না বা রেগে যাবেন না ।
৯- ভাইভা রুমে ঢোকার আগে রুমের বাইরে নেমপ্লেটটা দেখে যান, ঢুকে সালাম দিয়ে দাড়িয়ে থাকবেন ,স্যাররা বসতে বললে পরে বসে একটা ধন্যবাদ দিন । আলাদাভাবেও সব স্যারকে সালাম দিতে পারেন ।
১০- স্যাররা বাংলায় প্রশ্ন করলে বাংলায় এবং ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে ইংরেজিতে উত্তর দিন । আমার পরিচিত এক বন্ধুকে বি সি এস ভাইভাতে স্যার রা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করায় সে বোকার মত জিজ্ঞেস করেছিল যে '' স্যার বাংলায় নাকি ইংরেজিতে বলবো ?? '' উত্তরে স্যার নাকি বলেছিলেন '' তুমি গ্রীক ভাষায় বল '' , মানে তার impression তা শুরুতেই negative হয়ে গিয়েছিল । oversmartness দেখাতে যাবেন না ,বা বোকার মত প্রশ্ন করবেন না যে স্যার বাংলায় নাকি ইংলিশে বলব???
১১- এক কথায় নরমাল থাকবেন । আর একেকজন ভাইভা শেষ করে বের হবার সাথে সাথে মৌমাছির মত তার পেছনে ছুটে তা কে প্রশ্ন করার দরকার নেই ,কারন একেকজন বের হয়ে একেক কথা বলবে ,এতে আপনার মাত্থা গরম হবার সম্ভাবনা বাড়ে,প্রত্যেকের ভাইভার কিছু uncut version থাকে যা সে বের হয়ে সাধারণত বলেনা,সে হয়তবা এমন কিছু বলেছে যাতে স্যাররা মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন ,মনে রাখবেন কারো সাথে কারো ভাইভার কোন মিল থাকেনা সাধারণত । কি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলো তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন আপনার ভাইভা রুমে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত যেন একটা ভালো presentation and attitude থাকে ।
১২- যা জিজ্ঞেস করবে তা উত্তর করে চুপ থাকুন ,বেশি বলে বিদ্যা জাহির করতে গেলে বিপদে পড়ার চান্স বেশি বৈকি । বেশি কিছু আগ বাড়িয়ে বলতে যাবেন না । খুব কমন টপিকগুলো নিয়ে দেখে যান, সাম্প্রতিক আলোড়নকারী ঘটনা, আপনার নিজের জেলা, নিজ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে ভালো ধারণা রাখতে পারলে ভালো । খুবগ সহজ প্রশ্নের উত্তর ভুল না করাই ভালো । দুই একটা প্রশ্ন না পারলে ঘাবড়ে যাবেন না । ভাইভা বোর্ডে দুই চারটা প্রশ্ন পারা না পারা দিয়ে কিচ্ছু আসে যায়না । সেখানে আপনার নিজেকে উপস্থাপন আর আচার ব্যবহার টাই মুখ্য ।
১৩- ওইদিনের ২ টা বাংলা এবং ২ টা ইংরেজি পত্রিকার শিরোনাম দেখে যাওয়ার চেষ্টা করবেন । পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে নানান জনকে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকুন । অযথা নিজেই নিজের ঝামেলা বাড়াতে যাবেনা না । একেক জনের ভাইভা অভিজ্ঞতা একেক রকম । কেউ বাইরে এসে আসল ঘটনা বলতে চায়না । ভেতরে অনেক uncut ভার্সন থাকে । নিজেকে যতটা পারুন তৈরি করুন । বেশি স্টাডি করে মাথা ভার করার দরকার নেই । পড়ে দেখা যাবে এত জ্ঞানের ভারে আপনার মুখই খুলছে না, এমন যেন না হয় সে চেষ্টা করবেন । আপনার চয়েস নিয়ে একটু স্টাডি করে যান । কেন প্রথম চয়েস, দ্বিতীয় চয়েস এটা দিয়েছেন ইত্যাদি ।
১৪- মনে রাখবেন আপনি একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে যোগদান করার জন্যই ভাইভা দিতে এসেছেন ,প্রতিটা দেশের প্রতিটা সরকারের কিছু positive and negative বিষয় থাকে ,পজিটিভগুলোকে তুলে ধরার চেষ্টা করুন ।
বি দ্র - হয়তোবা এই বিষয়গুলো আপনাদের জানা আছে ,তাও লিখলাম এজন্য যে আমরা তো মানুষ তাই সামান্য ভুল হতেই পারে ,সেগুলোকে এড়ানোই আমাদের লক্ষ্য , good luck guys. ভালো থাকবেন সবাই ।
Aryan Ahmed
Assistant Commissioner of Taxes
কাজখুঁজি ডট কম এ রেজিষ্ট্রেশন করুন
কাজখুঁজি ডট কম এ রেজিষ্ট্রেশন করলে আপনি এর সকল ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। এটি সম্পূর্ন ফ্রি!
Join as Candidate
ক্যান্ডিডেট হিসেবে জয়েন করে যা যা করতে পারবেন:
১. আপনার সিভি/রিজিউম আপডেট করতে পারবেন এবং অনলাইনের জব পোষ্টিংগুলিতে আবেদন করতে পারবেন।
Join as Candidate > From Candidate Menu: goto Resume & Jobs > Edit resume
২. আপনার পাবলিক প্রোফাইল তৈরি করতে পারবেন । এখান থেকে যে কেউ আপনাকে সহজে খুঁজে পাবে এবং আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারবে
Join as candidate > goto your candidate dashboard > Create your public profile
From your candidate dashboard edit your public profile and you are done.
Click here to access public profiles
Featured Articles
Resume Structure for Government Jobs
Resume/CV
আইবিএ এবং কিকি বই পড়তে হবে: আইবিএর ডিগ্রী যদি হয় আপনার স্বপ্ন, তাহলে প্রস্তুতি শুরু করুন এখনই
Career Guide
জেনেনিন কি বোর্ড এর F1 থেকে F12 পর্যন্ত বাটন গুলোর কাজ
Computer and IT
বিভিন্ন শাস্ত্রের জনক (Father of Various Subjects)
International
ব্যাংক ভাইভা টার্ম (Bank viva Terms)
Bank
সরকারী চাকুরিতে আবেদনের বিভিন্ন নমুনা ফরম
Resume/CV
BCS Cadre Choice-বিসিএস পরীক্ষায় ক্যাডার চয়েসঃ সুজন দেবনাথের জানালায়
BCS